মিঠুর নাম বড়মিয়া কেন হোল সেটা একটু চিন্তা করে বের করতে হয়েছে। ওর সাথে আমাদের পরিচয় আশির দশকের মধ্যভাগে, মানিকগঞ্জের ছেলে ছিল ও। ওই সময়ে একটা সিনেমার গান ছিল যার প্রথম লাইনটা ছিল..."মানিকগঞ্জের বড়মিয়া..."। ওর নামটার সূত্রপাত মনে হয় ওই গানটাই।
গতরাতে মিঠু চলে গেছে না ফেরার দেশে। অনেকদিন ধরেই অসুখে ভুগছিল, হয়ত শান্তি হয়েই এসেছে এই মৃত্যু। আমি অনেক চিন্তা করলাম মিঠুর কথা। কোন স্মৃতিই মনে পড়ল না, শুধু ওরা মুখটা ছাড়া। ছেলেটা চুপচাপ ছিল, বেশি কথা বলত না। ওর সাথে সবাই মিলে অনেকবার মানিকগঞ্জে গিয়েছে শুধু কোন কারণে আমারই যাওয়া হয় নি। এটা ওকে বলার পরে আমাকে সে নিয়ে যাবে বলেছে। সেটাও বিশ বছর আগের কথা। এরপরও দেখা হয়েছে, কথা হয়েছে, বিদেশ যাওয়ার আগে বিদায় নিয়েছি।
বিদেশে আসলে অনেক কিছুই হারিয়ে যায়। আমি নিজেও হারিয়ে গেছি- খুব অল্প কিছু মানুষের স্মৃতি ছাড়া আমার অস্তিত্বও নেই আমার নিজের শহরে। হয়ত বড়মিয়াও ভুলে গিয়েছিল আমার কথা। কিন্তু ওর অসুস্থতার খবর আমি ঠিকই পাই। কিন্তু আর দেখা হয় নি। ওকে আমার হাসপাতালের বেডে দেখতে হয় নি, কিডনি ডায়ালাইসিসের সময়ে দেখতে হয় নি, মৃত্যুশয্যায় দেখতে হয় নি, শেষযাত্রায় দেখতে হয় নি। তাই আমার কাছে ও এখন রয়ে গেছে পঁচিশ বছরের এক চুপচাপ যুবক, যে শান্তস্বরে কথা বলে, যার কথা বুকের কোন একস্থানে রয়ে যায়।
জীবন যত দীর্ঘ হয়, ততই শোক গ্রহণ করতে হয় তাকে। বড়মিয়ার মৃত্যুসংবাদ আমাদের শুনতে হয়েছে, আমাদের মৃত্যুর কারো খবর ওকে আর শুনতে হবে না...বড় বেঁচে গেছিস তুই। তুই থেমে থাকবি চল্লিশেই, এই জীবনের প্রাপ্তি, দুঃখ-কষ্ট, বেদনা অথবা আনন্দের ভাগ আর তোকে নিতে হবে না।
এই এতোগুলো বছর পরে আমার কাছে বড়মিয়ার একমাত্র স্মৃতিচিহ্ন ওর যৌবনের উজ্জ্বল মুখটা। ওকে শেষ দেখা দেখতে না পাওয়ার বেদনা আমার নেই- এক ইন্দ্রজালে বড়মিয়া এখনও যুবক রয়ে গেছে আমার কাছে...বেঁচে থাকুক এই স্মৃতিচিহ্ন।
গতরাতে মিঠু চলে গেছে না ফেরার দেশে। অনেকদিন ধরেই অসুখে ভুগছিল, হয়ত শান্তি হয়েই এসেছে এই মৃত্যু। আমি অনেক চিন্তা করলাম মিঠুর কথা। কোন স্মৃতিই মনে পড়ল না, শুধু ওরা মুখটা ছাড়া। ছেলেটা চুপচাপ ছিল, বেশি কথা বলত না। ওর সাথে সবাই মিলে অনেকবার মানিকগঞ্জে গিয়েছে শুধু কোন কারণে আমারই যাওয়া হয় নি। এটা ওকে বলার পরে আমাকে সে নিয়ে যাবে বলেছে। সেটাও বিশ বছর আগের কথা। এরপরও দেখা হয়েছে, কথা হয়েছে, বিদেশ যাওয়ার আগে বিদায় নিয়েছি।
বিদেশে আসলে অনেক কিছুই হারিয়ে যায়। আমি নিজেও হারিয়ে গেছি- খুব অল্প কিছু মানুষের স্মৃতি ছাড়া আমার অস্তিত্বও নেই আমার নিজের শহরে। হয়ত বড়মিয়াও ভুলে গিয়েছিল আমার কথা। কিন্তু ওর অসুস্থতার খবর আমি ঠিকই পাই। কিন্তু আর দেখা হয় নি। ওকে আমার হাসপাতালের বেডে দেখতে হয় নি, কিডনি ডায়ালাইসিসের সময়ে দেখতে হয় নি, মৃত্যুশয্যায় দেখতে হয় নি, শেষযাত্রায় দেখতে হয় নি। তাই আমার কাছে ও এখন রয়ে গেছে পঁচিশ বছরের এক চুপচাপ যুবক, যে শান্তস্বরে কথা বলে, যার কথা বুকের কোন একস্থানে রয়ে যায়।
জীবন যত দীর্ঘ হয়, ততই শোক গ্রহণ করতে হয় তাকে। বড়মিয়ার মৃত্যুসংবাদ আমাদের শুনতে হয়েছে, আমাদের মৃত্যুর কারো খবর ওকে আর শুনতে হবে না...বড় বেঁচে গেছিস তুই। তুই থেমে থাকবি চল্লিশেই, এই জীবনের প্রাপ্তি, দুঃখ-কষ্ট, বেদনা অথবা আনন্দের ভাগ আর তোকে নিতে হবে না।
এই এতোগুলো বছর পরে আমার কাছে বড়মিয়ার একমাত্র স্মৃতিচিহ্ন ওর যৌবনের উজ্জ্বল মুখটা। ওকে শেষ দেখা দেখতে না পাওয়ার বেদনা আমার নেই- এক ইন্দ্রজালে বড়মিয়া এখনও যুবক রয়ে গেছে আমার কাছে...বেঁচে থাকুক এই স্মৃতিচিহ্ন।