মেয়েকে মাঝে মাঝে বলি - "ফোনটা অন রেখো, বান্ধবীর বাসাতে যাচ্ছো, আমি ফোন করলে যেন তোমার খোঁজ পাই।"
আজকের দিনের প্রতিটি টিনেজারের কানে একটা করে ইয়ারপড গোঁজা থাকে। আমার কন্যারাও ব্যতিক্রম না। যে কোন প্রশ্নের পরে মেয়ের প্রথম রিএকশন হয়- "Huh!" (এর কোন বাংলা প্রতিশব্দ নেই)। এইবারও ব্যতিক্রম হলো না।
এরপরের বক্তব্য হলো - আই হ্যাভ অনলি ৩% চার্জ অন মাই ফোন।
আমার ধারণা ছিল টিনেজারদের ফোনে ৩% চার্জের বেশি থাকে না। তবে আস্তে আস্তে ধারণাটা পাল্টে যাচ্ছে।
গত কয়েক সপ্তাহের পরিসংখ্যান অনুযায়ী আমার ও আমার বউয়ের ফোনেরও একই অবস্থা। আমারটা কেন আমি জানি। ফোন চার্জে দিয়েই ঘুমাতে যাই। আমি রাতে ইউটিউবে গল্প শুনি। বর্তমানে মির্চি বাংলা রেডিওর সানডে সাসপেন্স শুনছি। এর আগে ওবামা আর মিশেল ওবামার অডিও বুক শুনেছি। অনেকে বই পড়তে পড়তে ঘুমান। আমি দেখেছি বই শুনতে শুনতে ঘুমানো আরও অনেক অনেক বেশি কার্যকর।
কিন্তু ফোনের চার্জার এক প্রপঞ্চক যন্ত্র। এর একটা মাথা ফোনে আর অন্য মাথা থাকে প্লাগ পয়েন্টে। দুই মাথার একটিতে প্রায়ই সমস্যা হচ্ছে। সকালে উঠে দেখছি ফোনে চার্জ বাকি আছে ৩%। সকালে ফোনের চার্জের পরিমাণের সাথে নিজের চার্জের সম্পর্ক সুনিবিড়। সকালে ফোনে ৩% চার্জ দেখলেই নিজের অবস্থাও ওই রকম মনে হয়।
মেয়েকে জিজ্ঞেস করেছি ওদের ফোনে ৩% চার্জের কারণ। ৯৯% টিনেজার সব প্রশ্নের একটাই উত্তর দেয় - আই ডোন্ট নো।
(অসমাপ্ত)