গর্ভনর এবোটের প্রেস কনফারেন্স দেখছিলাম। পুরো ব্লেইম মেন্টাল হেলথের। মুখ দিয়ে গালি বের হয়ে গেল, ঠিক ওই সময়ে দেখলাম বেটো দাঁড়ায়ে প্রতিবাদ করছে। একটা বাক্য বুঝতে পারলাম - ইউ আর ডুইং নাথিং। কথাটা সত্য না, এবোট এবং বাদবাকী রিপাবলিকান এবং তাদের সমর্থকের ইজ ডুইং এভ্রিথিং টু কিপ গানস এভাইবেল। ঈশ্বরের আদেশের মতো দ্বিতীয় সংশোধনী তাদের এই সুযোগ দিয়ে রেখেছে। বেটো মনে হয় বলেছিল এই ঘটনা আরও হবে। এই বক্তব্যের সাথে আমি এক মতো।
এংগ্রি, মেন্টাল হেলথ প্রব্লেমওয়ালা টিনেজার ছিল আর থাকবে, ইনফ্যাক্ট এই সমস্যাওয়ালা এডাল্ট ছিলো ও থাকবে। পৃথিবীর সব দেশেই ছিল ও আছে এবং থাকবেই। কিন্তু স্কুলে ঢুকে গুলির ঘটনা, দোকানে গুলি, চার্চে গুলি - এইগুলো ইউনিক। তালিবান অধ্যুষিত পাকিস্তানে একবার দুইবার হয়েছে কিন্তু প্রতি সপ্তাহে না।
আমরা ১৯৮৬ সালে ঢাকা কলেজে পড়তাম। আমার এই ফেসবুকে সেই সময়ের অনেক বন্ধু আছে। এংগ্রি টিন কত প্রকার সেটা আমরা দেখেছি। ঢাকা কলেজে ক্লাস করার দরকার ছিল না, সিগারেট ও গাঁজা সহজলভ্য ছিল। পুলিশের সাথে সংঘর্ষ, বলাকার ব্ল্যাকারদের সাথে মারামারি, ছাত্রলীগ ভার্সেস ছাত্রদল সংঘর্ষ কমন ব্যাপার ছিল। ছোটবড় মিলায়ে আমরা অন্তত ৮/১০ গোলযোগ দেখেছি।
কেউ মারা যায় নি। কেননা এংগ্রি টিনেজদের বন্দুক পাওয়া সম্ভব ছিল না। পেলেও সেমি আটোমেটিক হওয়ার কোন চান্স নেই।
আমেরিকার মতো বন্দুক সহজলভ্য হলে ঢাকা কলেজে রক্তের বন্যা বয়ে যেত বলে আমার ধারণা। মেন্টাল হেলথ ঠিক করে সমস্যাটার সমাধান করে যাবে এইটা আমার ধারণা রিপাব্লিকানেরাও বিশ্বাস করে না। বাংলাদেশে যেকোন ঘটনা ধামাচাপার জন্য তদন্ত কমিটি তৈরি করা হতো, মেন্টাল হেলথ হচ্ছে সেই তদন্ত কমিটির মার্কিনি রূপ।
দরকার যেটা সেটা কেউ করবে না, সেটা হচ্ছে ভারী অস্ত্র খোলা মার্কেটে বেচা বন্ধ করা, যে সব অস্ত্র আছে সেইগুলো সরকারের সংগ্রহে নিয়ে আসা। অস্ট্রেলিয়া করেছে এইটা।
সমস্যা হচ্ছে অস্ত্র হচ্ছে আমেরিকার বিসমিল্লাহ। বাংলাদেশের মানুষের মুখ থেকে কেউ বিসমিল্লাহ কেড়ে নিতে পারবে না যেমন, তেমনি আমেরিকাতে বন্দুক মুক্ত করার সম্ভব না।
সুতরাং পরের হামলার জন্য মানসিক প্রস্তুতি নিয়ে রাখা দরকার।
No comments:
Post a Comment