প্রবাসী বাংলাদেশিদের ঘরে ঘরে একটা কমন জিনিস দেখা যায়। সেটা হচ্ছে মার্কিনি বদনা। কোন এক প্রাচীন যুগে দেশি ম্যাকগাইভার আবিষ্কার করেছিলেন যে সুপার মার্কেটে যে গাছে পানি দেয়ার যে জার পাওয়া যায়, সেটার বিকল্প ও যথার্থ ব্যবহার হচ্ছে বদনা। আমি উত্তর, দক্ষিণ, পূর্ব ও পশ্চিম সর্বত্রই বাংলাদেশিদের বাথরুমে সেই বদনা দেখেছি। এক সময়ে দেশি কলম্বাসরা এই দেশে এসেই সেই বদনা কিনতেন, একদম প্রথম দিনেই।
আজকে সকালে পাশের অফিসের নতুন প্রতিবেশী মহিলাকে দেখলাম গম্ভীর মুখে সেই বদনা নিয়ে বাথরুমের দিকে যাচ্ছেন। আমি প্রথমে চমকায়ে উঠেছিলাম। পরে আবিষ্কার করলাম ওনার গোটা কয়েক ছোট গাছ আছে। সকালে উনি ওইগুলোকে রোদে দিয়ে আসেন। নিয়ম করে পানি দেন, পানি দেওয়ার জন্য যেটা নিয়ে যান, সেটাই আমাদের প্রিয় বহুল ব্যবহৃত বদনা।
এখন অবশ্য আর অনেক বিকল্প বের হয়েছে। সত্যিকারের বদনাও আমি দেশি দোকানে দেখেছি। কিন্তু মার্কিনি বদনা এখনও সদর্পে টিকে আছে, সহজলভ্যতা আর টু সাম এক্সটেন্ট এটার সার্ভিস আসল বদনার চেয়েও বেটার এই কারণেই হয়ত।
মার্কিন বদনার নির্মাতারা হয়তো জানেন না যে গাছে পানি দেয়ার ছাড়া আর গুরুত্বপূর্ণ কাজে সেগুলো ব্যবহার হয়। মার্কিন দেশে যে কয়টা জিনিস আমাকে মুগ্ধ করেছে তার মধ্যে এদের বদনা আছে।
এখন থেকে প্রায় প্রতিদিন সকালেই উনাকে দেখা যাবে বদনা হাতে দৌড়াতে।বেঁচে থাক বদনা।
No comments:
Post a Comment